গ্রীষ্মকালীন ফল বাঙ্গিকে একেক অঞ্চলে একেক নামে ডাকা হয়। কোথাও এর নাম খরমুজ, কোথাও কাঁকুড় বা বানি। ছোট ও লম্বাটে জাতকে বলা হয় চিনা। বাঙ্গি আকারে বেশ বড় হয়। কাঁচা ফল সবুজ, পেকে গেলে হলুদ। এর স্বাদ নিয়ে আমরা বরাবরই দুই ভাগে বিভক্ত। স্বাদে তেমন মিষ্টি নয়। তাই একদল বলে, ‘এটা কেন খাব?’ তবে আরেক দল বাঙ্গি খায় ভালোবেসেই। সুগন্ধযুক্ত সাধারণ স্বাদের বাঙ্গি কিন্তু পুষ্টিগুণে অনন্য। পুষ্টিগুণে যেহেতু এর জুড়ি নেই, তাই বাঙ্গিকে অবহেলা ক
বাঙ্গির বেশির ভাগ অংশই পানিতে পূর্ণ, যা গরমকালে শরীরের পানিশূন্যতা রোধে সহায়ক। গরমে আমরা ভীষণ ঘামি বলে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। এই পানির ঘাটতি পূরণ করে বাঙ্গি। এতে শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক থাকে, শক্তি বজায় থাকে ও শরীর ঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
বাঙ্গিতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরকে নানা রকম সংক্রমণ ও অসুস্থতা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। গরমকালে যখন পানিশূন্যতা ও তাপজনিত সমস্যা বেশি হয়, তখন বাঙ্গি খেতে পারেন।
ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ হওয়ায় বাঙ্গি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন এ ত্বকের কোষ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। ফলে ত্বকে দেখা দেয় উজ্জ্বল আভা। মুখের বলিরেখা কমাতে এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকেও ত্বককে সুরক্ষা দেয় বাঙ্গি।
বাঙ্গিতে খাদ্য–আঁশ বা ফাইবারও পাবেন, যা হজমে সহায়ক। পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নিয়মিত বাঙ্গি খেলে মলত্যাগ সহজ হয়, পেট হালকা থাকে।
যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য আদর্শ ফল বাঙ্গি। কারণ, এটা কম ক্যালরিসম্পন্ন কিন্তু উচ্চ পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রাকৃতিকভাবে পানিতে পরিপূর্ণ হওয়ায় অতিরিক্ত ক্যালরি ছাড়াই ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে এটি।
রা ঠিক হবে না। জেনে নিন এর উপকারিতাগুলো।