দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়া ৬১ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বা কেউ জবাব না দিলে, তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন এসব নেতা। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯ উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হবে আগামী ২১ মে।
এর আগে প্রথম দফার ভোটে যাওয়া ৮০ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। তাদেরকেও বহিষ্কারের আগে শোকজ করা হয়। প্রথম দফায় ভোট হবে ৮মে। দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় শোকজ করা ৬১ নেতার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ২০ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ১৬ প্রার্থী রয়েছেন।
এসব নেতা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক নেতা। এ ছাড়া এ ধাপের ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রত্যাহার করেছেন ১২ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে ৪ জন নেতা ছিলেন।
প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের ভোটেও ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে কম সংখ্যক বিএনপি নেতা ভোটে গিয়েছেন। ঢাকার পাশাপাশি বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগেও কম সংখ্যক নেতা ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে ভোট থেকে বিরত রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সফলতা দেখিয়েছেন বলে মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন নেতা যুগান্তরকে বলেন, শোকজ করার কারণ হলো তাদের আরও একটি সুযোগ দিতে চায় দল।
এর মধ্যেও যদি কেউ ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে’র দ্বিতীয় দফায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’