বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ দুই মাস আমাদের গ্রীষ্মকাল কিংবা গরমের মৌসুম। সেই হিসাব করলে এই গ্রীস্মকাল শুরু হতে এখনো ১০ দিনের বেশি বাকি আছে। ১৪ এপ্রিল বৈশাখ মাস শুরু হবে। তবে বসন্তের দ্বিতীয় ভাগ চৈত্র মাসেও তীব্র গরম পড়ে এটা স্বাভাবিক । তাপদাহের মাস চৈত্রের বাকি আর মাত্র আট দিন। তাই বলা যায় গরমকাল প্রায় শুরু হয়ে গেছে।
ইতোমধ্যেই চৈত্রের এর প্রভাবে সারা দেশের সাথে সাথে বরুড়ার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। বিশেষত বরুড়ার বাজারের লাইন ছাড়া বাকি ফিডার অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলের ফিডার (সঞ্চালক লাইন) গুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।
শাকপুর ইউনিয়নের গোল্ডেন উয়িং রেস্তোরাঁর অন্যতম পরিচালক মোঃ বাবুল হোসেন জানান দিনের ১৬ ঘন্টার কিছু বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকে না, বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে বলে আমরা যোগান যা পাই তা আপনাদেরকে বন্টন করি মাত্র। এ সময় তিনি আরো বলেন কুমিল্লা ০৮(বরুড়া) ‘র সাংসদ এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম দেশের বিদ্যুৎ সেক্টরের অত্যতম তারকা ব্যবসায়ী উনি নিজের এলাকার জন্য যদি জাতীয় গ্রিড থেকে আমাদের জন্য একটু বাড়তি বিদ্যুৎতের ব্যাবস্থা করেদেন তাহলে এই কঠিন সময়ে বরুড়ার সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপকার হবে।
একই সময় ভবানীপুর ইউনিয়নের ভৈষখলা এলাকার মাওলানা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন অব্যবস্থাপনার আরেক নাম বরুড়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যৎ ব্যবস্থা।গ্রামের মানুষ চরম বৈদ্যুতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন পাড় করছে, খাদ্য বস্তু বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার সাথে সাথে বিদ্যুৎ এখন মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যেই পরে, দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ মানুষের ভুগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ ছাড়াও উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকাতেই বিদ্যুৎতের সংকটে সকল কিছু স্থবির হয়ে পরেছে, অতিরিক্ত গরমে মানুষের নানান সমস্যায় পড়ছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি০১ (বরুড়া)র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) বলেন, জাতীয় গ্রিডে উৎপাদন না বাড়লে এই সমস্যার সমাদানের সুযোগ নেই, বরুড়া উপজেলায় প্রতিদিন ৩০/৩১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন কিন্তু এর বিপরীতে বরুড়া অফিস বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাচ্ছে ১৪/১৫ মেগাওয়াট, অর্থাৎ অর্ধেক চাহিদার চেয়ে অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়ার কারণেই এই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।