• শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
এস আলমের আরও ২৬১৯ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল বরুড়ায় আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় জোরপূর্বক পুকুর দখলের অভিযোগ বাঙ্গি খেলে ওজন কমবে, পাবেন আরও ৯টি বিশেষ উপকার মোবাইল চোরাকারবারি ও ছাত্রলীগ নেতা সুমনের করা মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক শাহীন’র জামিন বরুড়া চালিতাতলী দারুস সুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল সাহারপদুয়া পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের শুভ উদ্বোধন মাথায় গুলি নিয়েই চলে গেল জুলাই আন্দোলনে আহত কিশোর জিনসার আল কোরআন হাফেজিয়া মাদানী মাদ্রাসার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সিলেটের বহিস্কৃত সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার কাজের কথা বলে আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ

Riaz Uddin Rana / ৪২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪

সিলেটে কিশোরীকে বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আবদুস সালাম (৪০) নামের সদ্য বহিষ্কৃত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সোমবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) র‌্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে উইং কমান্ডার মো. মমিনুল হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সিলেট নগরীর ঘাসিটুলার মতিন মিয়ার কলোনির এক কিশোরীকে ভালো কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২২ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুস সালাম ও তার সহযোগীরা। তাদের সহযোগিতা করেন একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম। তিনি ফুঁসলিয়ে কিশোরীকে আবদুস সালামের হাতে তুলে দেন। আবদুস সালাম তার বাসায় আটকে রেখে সহযোগীদের নিয়ে টানা ২২ দিন মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটি মুক্ত হলেও কয়েকদিন পর ফের আবদুস সালাম তাকে তুলে নিয়ে আবদুল মনাফের সহযোগিতায় হবিগঞ্জে আটকে রাখেন। সেখানে আবদুস সালাম, আবদুল মনাফসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে ফের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। প্রায় দুই মাস নির্যাতনের পর গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে বন্দিদশা থেকে মেয়েটি পালিয়ে আসে এবং তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা মায়ের কাছে খুলে বলে।

এ ঘটনায় গত ২৯ মার্চ কোতোয়ালি থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, কিশোরীকে গণধর্ষণের পর গা ঢাকা দেন আবদুস সালাম। পরবর্তীতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ভিকটিমের মা মামলা করলে ছায়া তদন্তে নেমে গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় র‍্যাবের বিশেষ টিম। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে। গণধর্ষণে জড়িত অপর আসামিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি আবদুস সালাম সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড় ৭০ নম্বর বাসার গাজী আবদুর রহিমের ছেলে। তিনি ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। অন্য আসামিরা হলেন- সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড় ২৭ নম্বর বাসার ইশাদ মিয়ার ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিলেট মহানগর কমিটির সদস্য আবদুল মনাফ (৩৮) ও ধর্ষণের ঘটনার সহযোগী নগরের ঘাসিটুলার মতিন মিয়ার কলোনির রেখা বেগম (৩০)।

এদিকে, ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে এবং আবদুস সালামের নামে মামলা হওয়ার পর রোববার রাতে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক জরুরি সভায় সালামকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা কার্যকর করা হয়। একই সাথে সালামের নেতৃত্বাধীন সিলেট সিটি করর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর