নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কুমিল্লার হোমনায় ফয়সাল নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১ এপ্রিল) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন।
হত্যাকা-ের শিকার ফয়সাল হোমনা উপজেলার রাজানগর গ্রামে মকবুল হোসেনের ছেলে। মৃত্যু দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হোমনা উপজেলার রাজনগর গ্রামের মোঃ ফুল মিয়ার ছেলে মোঃ শামীম মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার সাফলেজি গ্রামের মোঃ বেদন মিয়ার ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া প্রকাশ দুলাল (২০)।
রায় ঘোষণার সময় দ-প্রাপ্ত দুই আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, হোমনা উপজেলার রাজানগর গ্রামে মকবুল হোসেনের ছেলে ফয়সালে সাথে একই গ্রামে মেহেদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২০ সালের ৫ ই জুন মেহেদী আক্তারের বড় ভাই শামীম ও মামাতো ভাই দুলাল পরিকল্পিত ভাবে ফোনে ডেকে নিয়ে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে ফয়সালকে। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে ফয়সালের গলা কেটে স্থানীয় নজরুল ইসলাম গার্লস স্কুলের নির্মানাধীন ভবনের নিচে মরদেহ লুকিয়ে রাখে। এই ঘটনায় নিহত ফয়সালের বাবা মকবুল হোসেন ১৩ জুন একটি নিখোঁজের ডায়রি করেন। পরে পুলিশের তদন্তে মেহেদী আক্তারের বড় ভাই শামীম এবং মামাতো ভাই দুলালকে আটক করা হয় এবং পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তারা। পরবর্তীতে তাদের দেখানো মতে ১২ দিন পর ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ফয়সালের বড় বোন সালমা আক্তার বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এই মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন ও উপযুক্ত প্রমান উপস্থাপিত হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত দুই আসামি শামীম ও দুলালকে মৃত্যু দন্ডাদেশ দেয়।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার বলেন- আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী এডভোকেট বিমল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।