• শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
এস আলমের আরও ২৬১৯ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল বরুড়ায় আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় জোরপূর্বক পুকুর দখলের অভিযোগ বাঙ্গি খেলে ওজন কমবে, পাবেন আরও ৯টি বিশেষ উপকার মোবাইল চোরাকারবারি ও ছাত্রলীগ নেতা সুমনের করা মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক শাহীন’র জামিন বরুড়া চালিতাতলী দারুস সুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল সাহারপদুয়া পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের শুভ উদ্বোধন মাথায় গুলি নিয়েই চলে গেল জুলাই আন্দোলনে আহত কিশোর জিনসার আল কোরআন হাফেজিয়া মাদানী মাদ্রাসার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ব্যাংকে অলস পড়ে থাকা টাকার মালিক বেশির ভাগই সিলেটের !! খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা ওদের

Dev Farhad / ৮৭৬২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ব্যাংকে অলস পড়ে থাকা টাকার মালিক বেশির ভাগই সিলেটের !! খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা ওদের
আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: ব্যাংকে অলস পড়ে থাকা টাকার মালিক বেশির ভাগই সিলেটের !! খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা ওদের। বার বার নোটিশ প্রদান করার পরও তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, সরকারি- বেসরকারি ব্যাংকের অনেক অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা প্রায় ১০৮ কোটি ১৮ লাখ ২২ হাজার ৫০৩ টাকার মালিক খুঁজে পাচ্ছেনা ব্যাংকগুলি। এসব টাকার বড় একটি অংশ সিলেটের বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
টাকা পড়ে থাকা অ্যাকাউন্ট গুলোতে ১০ টাকা থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত জমা রয়েছে। তবে এতো  বেশি টাকা জমা হলেও এর মালিক খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রকৃত মালিক না থাকায় অদাবিকৃত এসব অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা পড়েছে।  কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৮ পর্যন্ত সংশোধিত)’-এর ৩৫ ধারা অনুযায়ী, ১০ বছর ধরে কোনো ব্যাংক হিসাবে লেনদেন না হলে এবং ওই আমানতের গ্রাহককে খুঁজে পাওয়া গেলে না, ব্যাংক গুলোকে  সে সব অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা করতে হয়।
তথ্য বলছে, এসব হিসাবধারীর মধ্যে একজন শোয়েবুর রহমান। ইসলামী ব্যাংক সিলেটের বিয়ানীবাজার শাখায় তার নামে সঞ্চয়ী হিসাবে পড়ে আছে ৫৯ হাজার ১১০ টাকা। শোয়েবুর রহমান নামের ওই গ্রাহক ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসে তার হিসাব থেকে লেনদেন করে ছিলেন। এরপর শোয়েবুর বা তার পরিবারের  কেউ এই অর্থের খোঁজ নিতে আসেননি। ব্যাংকের পক্ষ থেকে হিসাবে উল্লেখিত ঠিকানা বরাবর  নোটিশ পাঠিয়েও সাড়া পায়নি ব্যাংক।
একই ব্যাংকের সিলেটের বিশ্বনাথ শাখার জাহেদ মিয়া নামে এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ৬৩ হাজার ৬০০ টাকা, বাসার উদ্দিনের অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা, গোয়ালাবাজার শাখায় ময়না মিয়ার অ্যাকাউন্টে ৪০ হাজার ৮৮০ টাকাসহ অদাবিকৃত কয়েক কোটি টাকা পড়ে আছে। এভাবে প্রাইম ব্যাংক,ব্যাংক এশিয়াসহ সরকারি বেসরকারি বেশ কিছু ব্যাংকে পড়ে আছে শত কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ব্যাংকগুলো ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অদাবিকৃত ১৫ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা দেয়। ২০১৮ সালে জমা দেয় ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার, ২০১৯ সালে ১০  কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২০২০ সালে ৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জমা দেয়।
সবশেষ ২০২১ সালে ৩৭ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা অদাবিকৃত অর্থ জমা হয়েছে।
সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে (২০২১ সালের ১২ আগস্ট পর্যন্ত) ব্যাংক গুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরকারি  কোষাগারে জমা দেওয়া অদাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ১০৮ কোটি ১৮ লাখ ২২ হাজার ৫০২ টাকা ৯৭ পয়সা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর